- বিচার বিভাগের ওপর জনগণের আস্থা বেড়েছে: প্রধানমন্ত্রী
- বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের বৈঠক অনুষ্ঠিত
- ভারতের ৩৮০ সৈন্যকে সম্মাননা দেবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- ‘অসচ্ছল প্রতিবন্ধীদের ভাতা দেয়া হবে’
- রোহিঙ্গাদের কারণে কক্সবাজারবাসী ঝুঁকিতে রয়েছে: টিআইবি
- প্রতি উপজেলায় প্রতিবন্ধী সেবা কেন্দ্র চালু হবে: প্রধানমন্ত্রী
জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব: স্পিকার
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ৪:৩০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৭, ২০১৯

স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
তিনি বলেছেন, সরকারি সকল কাজে স্বচ্ছতার প্রতিফলন ঘটাতে সততা ও দায়িত্বশীলতার বিকল্প নেই। এ প্রক্রিয়ায় অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে শক্তিশালী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
রোববার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এক আলোচনা সভায় স্পিকার এ কথা বলেন।
‘প্রমোটিং একাউন্টেবেলিটি অ্যান্ড ইন্টেগ্রেটি ইন গভর্নমেন্ট স্পেন্ডিং’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক বাংলাদেশ।
সাউথ এশিয়া একাউন্টেবেলিটি রাউন্ডটেবিল আলোচনা সভায় স্পিকার বলেন, বাংলাদেশের সরকারি ব্যয়ের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, দায়িত্বশীলতা ও সততা নিশ্চিত করতে জাতীয় সংসদের সরকারি হিসাব সম্পর্কিত কমিটি (পিএ) এবং বাংলাদেশের মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের অফিস কাজ করছে।
পিএ কমিটি, সিএজি, দুদকসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতে সরকারি অর্থের অপচয় রোধ করা সম্ভব।
স্পিকার সরকারি অর্থ ব্যয়ের স্বচ্ছতা ও দায়িত্বশীলতা নিশ্চিত করতে আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধনসহ দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ এবং সংসদ সদস্যদের সাথে বিশেষজ্ঞদের মতবিনিময়ের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
স্পিকার বলেন, সরকারি অর্থের অপব্যবহার ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে প্রশাসন, রাজনীতি ও সমাজব্যবস্থায় জবাবদিহিতা ও দায়িত্বশীলতা ক্রমেই লোপ পায়। ফলে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা নষ্ট হয়ে যায়। এতে দেশের উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধি পায় এবং বাজেট ঘাটতি দেখা যায়।
প্রতিটি সেক্টরে অর্থের অপচয় রোধ করতে পারলে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব যা বাংলাদেশকে আরও উজ্জ্বল অবস্থানে নিয়ে যাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ডানডান চেন, বাংলাদেশের মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ এবং ভারতের সিএজি ও ডিরেক্টর জেনারেল সুনীল শ্রীকৃষ্ণ।
এমএইচ/এসবি
জাতীয়: আরও পড়ুন
